মূল্যবোধ কি, উৎস, কত প্রকার নৈতিকতা, মূল্যবোধ

-Advertisements-

 

মূল্যবোধ কি, কত প্রকার? 

মূল্যবােধ : সমাজকাঠামাের অবিচ্ছেদ্য উপাদান হচ্ছে মূল্যবােধ। যে চিন্তা-ভাবনা, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও সংকল্প মানুষের সামগ্রিক আচার-ব্যবহার ও কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত করে, তাদের সমষ্টিকে মূল্যবােধ বলা হয়। মূল্যবােধ হচ্ছে, মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড। মূল্যবােধ নির্ধারিত হয় সমাজের মানুষের আচার-আচরণ তথা সামষ্টিক গ্রহণযােগ্য রীতিনীতি ও নৈতিকতা দ্বারা। সমাজ জীবনে মানুষের ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত আচার ব্যবহার ও কর্মকাণ্ড যে সকল নীতিমালার মাধ্যমে পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয় তাদের সমষ্টিকে বলা হয় সামাজিক মূল্যবােধ।

এম.ডব্লিউ. পামফ্রে এর মতে, “মূল্যবােধ হচ্ছে ব্যক্তি বা সামাজিক দলের অভিপ্রেত ব্যবহারের সুবিন্যস্ত প্রকাশ।”

-Advertisements-

এম.আর.উইলিয়ামের মতে- “মূল্যবােধ মানুষের ইচ্ছার একটি প্রধান মানদণ্ড। এর আদর্শে মানুষের আচার-ব্যবহার ও রীতিনীতি নিয়ন্ত্রিত হয় এবং এই মানদণ্ডে সমাজে মানুষের কাজের ভাল-মন্দ বিচার কার হয়।”

এইচ.ডি স্টেইনের মতে, “জনসাধারণ যার সম্বন্ধে আগ্রহী, যা তারা কামনা করে, যাকে তারা অত্যাবশ্যক বলে মনে করে, যার প্রতি তাদের অগাধ শ্রদ্ধা বর্তমান এবং যা সম্পাদনের মাধ্যমে তারা আনন্দ উপভােগ করে তাকেই মূল্যবােধ বলে।”

ফ্রাঙ্কেল বলেছেন, “মূল্যবােধ হলাে আবেগিক ও আদর্শগত ঐক্যের বােধ।”

M. R. Willam বলেছেন, “মূল্যবােধকে মানুষের ইচ্ছার একটি প্রধান মানদণ্ড।”

-Advertisements-
-Advertisements-
মূল্যবোধ কাকে বলে

 মূল্যবােধের বৈশিষ্ট্য

ভাল-মন্দ, ঠিক-বেঠিক, কাক্ষিত-অনাক্ষিত বিষয় সম্পর্কে সমাজের সদস্যদের যে মানসিক ধারণা তার নামই মূল্যবােধ। মূল্যবােধের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন-

➡️ আক্ষরিক অর্থে- মূল্যবােধ বলতে ব্যক্তির জ্ঞানগর্ভ আচরণকে বুঝায়, যে আচরণে মানবীয় এবং সামাজিক মূল্য বিদ্যমান।

➡️ মানুষের কর্মকাণ্ডের ভাল-মন্দ বিচার করার ভিত্তিই হচ্ছে মূল্যবােধ। মূল্যবােধ মানুষের আচার-ব্যবহার, ধ্যান-ধারণা, চাল-চলন ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করার মাপকাঠি স্বরূপ।

-Advertisements-

➡️ মূল্যবােধের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলাে, মূল্যবোেধ কোনাে সর্বজনীন বিষয় নয়; বরং এটি পরিবর্তনশীল। এক সমাজে যে মূল্যবােধকে ভালাে মনে করা হয়, অন্য সমাজে সেটা মন্দ বলেও বিবেচিত হতে পারে। যেমন, প্রাচাত্য সমাজে মদ খাওয়া ভালাে বিষয়; ওরা মদ দ্বারা অতিথিদের আপ্যায়ন করে। কিন্তু আমাদের সমাজের মূল্যবােধ অনুযায়ী মদ খাওয়া খারাপ বিষয় এবং এটি একটি সামাজিক অপরাধ ও রাষ্ট্রীয় আইনের পরিপন্থী।

➡️  মূল্যবােধ সমাজের মানুষকে ঐক্যসূত্রে আবদ্ধ করে। একই রীতিনীতি, আচার-অনুষ্ঠান ও আদর্শের ভিত্তিতে সমাজের সকলে পরস্পর মিলিত ও সংঘবদ্ধ হয়ে জীবনযাপন করে।

➡️ মূল্যবােধের আরেকটি অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলাে, মূল্যবােধ পরিবর্তনশীল। সমাজ ও মানুষের রুচি এবং দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের সাথে সাথে সমাজের মূল্যবােধগুলােরও পরিবর্তন ঘটে। অতীতের অনেক মূল্যবােধ বর্তমানে বর্তমান সমাজে অর্থহীন।

➡️ মূল্যবােধ একটি ইতিবাচক শব্দ, যার অনুপস্থিতিকে বলা হয়- মূল্যবােধের অবক্ষয় বা সংকট।

-Advertisements-

➡️ মূল্যবােধের ধারণা- একটি আপেক্ষিক ধারণা।

➡️ মূল্যবােধের কোনাে নির্দিষ্ট বস্তুগত বা ধারণাগত মাধ্যম নেই, বিভিন্ন ধারণা বা বিভিন্ন অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে মূল্যবােধ জাগ্রত হয়।

➡️ মূল্যবােধ পরিমাপের নির্দিষ্ট কোনাে মানদণ্ড নেই; তবে মূল্যবােধ উৎকৃষ্ট সমাজ পরিমাপের অন্যতম মানদণ্ডস্বরূপ।

➡️ মূল্যবােধ- সমাজের বৃহৎ অংশ দ্বারা অনুমােদিত।

-Advertisements-

➡️  মানুষের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে- মূল্যবোেধ। [নােট: মানুষের অভ্যন্তরীণ আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে- নৈতিকতা।]

➡️ মূল্যবোেধ- প্রতিষ্ঠা করা যায় না, বরং ধীরে ধীরে গড়ে উঠে।

➡️  মূল্যবােধ ভাঙলে বা অমান্য করলে কোনাে শাস্তি হয় না।

➡️ সমাজ কাঠামাের অবিচ্ছেদ্য উপাদান- মূল্যবোেধ।

-Advertisements-

➡️ মূল্যবােধসমূহ সংরক্ষিত হয়- নাগরিকের অংশগ্রহণের দ্বারা।

➡️ মূল্যবােধের অবক্ষয় হলাে- সুশৃঙ্খল পরিবেশের অভাব।

➡️ মূল্যবােধকে সুদৃঢ় করার অন্যতম প্রধান উপায় হলাে- শিক্ষা।

➡️ মূল্যবােধ হলাে এক প্রকার – সামাজিক নৈতিকতা।

-Advertisements-

সামাজিক ন্যায়বিচার ও শৃঙ্খলাবােধের উন্মেষ ঘটায়- মূল্যবােধ।

➡️ মানুষের চিরন্তন মূল্যবোেধ হলাে- সত্য ও ন্যায়।

➡️ মূল্যবােধ শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে- সামাজিক অবক্ষয় রােধ।

➡️ ‘সুবর্ণ মধ্যক’ বা ‘Golden Mean’ বলতে বােঝায়- দুটি চরমপন্থার মধ্যবর্তী পন্থা।

-Advertisements-

➡️ ‘সুবর্ণ মধ্যক’ বা ‘Golden Mean’ এই দার্শনিক ধারণাটির প্রবর্তক/উদ্ভাব হলেন- গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটল

মূল্যবােধের উৎস ও বিকাশ

➡️  মানুষ প্রথম মূল্যবােধের শিক্ষা লাভ করে- পরিবার থেকে।

➡️ মানুষের মূল্যবােধের বিকাশভূমি হলাে- সমাজ।

➡️ মানুষের মূল্যবােধ প্রতিফলিত হয়- দৈনন্দিন কাজের মাধ্যমে।

-Advertisements-

➡️  মূল্যবােধের প্রধানতম প্রাতিষ্ঠানিক উৎস- শিক্ষালয়।

➡️ একটি শিশুর মূল্যবােধ শিক্ষার প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র হলাে- পরিবার।

➡️  মানুষের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক মূল্যবােধ বিকাশের ক্ষেত্রে সর্বাপেক্ষা বেশি প্রভাব বিস্তার করে- ধর্ম।

➡️  সামাজিক মূল্যবােধের প্রধানতম উৎসমূহ হলাে- প্রচলিত সামাজিক রীতিনীতি, প্রথা, ধ্যান-ধারণা, ধর্ম, ইতিহাস, ঐতিহ্য ইত্যাদি।

-Advertisements-

➡️  সামাজিক ন্যায় বিচারের মূলকথা হলাে- আইনের চোখে সকলের সমতা।

➡️  মানুষের রাষ্ট্রীয় জীবনে মূল্যবোেধ গঠনের দিক নির্দেশক হিসেবে কাজ করে- সংবিধান।

➡️ সভা-সমিতি, সামাজিক অনুষ্ঠান, প্রতিষ্ঠান ইত্যাদির মধ্যে দিয়ে ব্যক্তির মধ্যে মূল্যবােধ জাগ্রত হয়।

➡️ মূল্যবােধ প্রতিষ্ঠা ও সংরক্ষণ করা সম্ভব নয়- সচেতনতা ও কর্তব্যবােধ ছাড়া।

-Advertisements-

➡️ গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় ব্যক্তি স্বাধীনতার রক্ষাকবচ এবং রাষ্ট্রের ভিত্তি হলাে- সামাজিক ন্যায়বিচার।

➡️  নাগরিকের অধিকারকে সংরক্ষণ করে আইনের শাসন।

➡️  কোন দেশের মূল্যবোেধ অতি প্রাচীন ভারতের।

➡️ কোন দেশের মূল্যবােধ খুবই নতুন প্রকৃতির- অস্ট্রেলিয়া।

-Advertisements-

➡️  বিশ্বাসের অন্তর্নিহিত মূল্য হলাে- মূল্যবােধ।

➡️ মানুষের আচার-আচরণ পরিচালনার নীতি ও মানদণ্ড হলাে- মূল্যবােধ।

➡️ জাতির পরিচয়ের মানদণ্ড কোনটি- মূল্যবােধ।

➡️  বয়সের সাথে কোনটির পরিবর্তন ঘটে- মূল্যবােধের।

-Advertisements-

➡️ স্থান, কাল, পাত্র, সমাজ, রাষ্ট্রভেদে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়- মূল্যবােধের ক্ষেত্রে।

➡️  মূল্যবােধ কোন ধরনের বিষয়- মানসিক বিষয়।

➡️  মূল্যবোেধ কোন ধরনের প্রত্যয়- আপেক্ষিক।

➡️  মূল্যবােধকে বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যাবে- মানসিক প্রক্রিয়া।

-Advertisements-

➡️ কারাগারে তথা জেলখানায় কোন ধরনের শিক্ষা প্রদান করা হয়- মূল্যবােধের শিক্ষা।

➡️ মানুষের সামগ্রিক জীবনযাপন প্রণালিকে এক কথায় বলা হয়- সংস্কৃতি।

➡️ মূল্যবােধের চালিকা শক্তি বলা হয় কোনটিকে- সংস্কৃতিকে।

➡️ প্রতিটি শিশু জন্মগ্রহণ করে- ব্যক্তিগত মূল্যবোেধ নিয়ে।

-Advertisements-

➡️ ব্যক্তিগত মূল্যবোেধ লালন করে- ব্যক্তি স্বাধীনতাকে।

➡️ সংগঠন ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে কিছু লিখিত বা অলিখিত নিয়ম-কানুন থাকে, যেগুলাে ব্যক্তির মূল্যবােধ গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

➡️ বাংলাদেশ সংবিধানের ১২ নং অনুচ্ছেদে- ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতার নিশ্চয়তার বিধান করা হয়েছে।

➡️  বাংলাদেশ সংবিধানের ১৮ নং অনুচ্ছেদে- জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতার বিষয় উল্লেখ আছে।

-Advertisements-

 মূল্যবােধের প্রকারভেদ

মূল্যবোেধ হলাে একপ্রকার মানদণ্ড, যা সমাজের মানুষের আচার-আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে। সমাজের বিভিন্নতায় মূল্যবােধেরও বিভিন্নতা দেখা যায়। সেজন্য মূল্যবােধকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- ব্যক্তিগত মূল্যবােধ, সামাজিক মূল্যবােধ, ধর্মীয় মূল্যবােধ, রাজনৈতিক মূল্যবােধ, গণতান্ত্রিক মূল্যবােধ, অর্থনৈতিক মূল্যবােধ, সাংস্কৃতিক মূল্যবােধ, নৈতিক মূল্যবােধ, শারীরিক বা বাহ্যিক মূল্যবােধ,

বুদ্ধিবৃত্তিক মূল্যবােধ প্রভৃতি।

➡️ প্রতিটি শিশুই জন্মায়- ব্যক্তিগত মূল্যবােধ নিয়ে।

➡️ ব্যক্তিগত মূল্যবোেধ লালন করে- ব্যক্তি স্বাধীনতাকে।

-Advertisements-

➡️ আধুনিক সভ্যতা খুব বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে- ব্যক্তিগত মূল্যবােধকে।

➡️ সঞ্চয় করার প্রবণতা যে ধরনের মূল্যবােধ- ব্যক্তিগত মূল্যবােধ।

➡️ সুস্থ সামাজিক জীবন যাপনের জন্য সমাজ জীবনে সম্পাদিত আচরণের আদর্শগত দিক হলাে- সামাজিক মূল্যবােধ।

➡️ মানুষের আচরণ বিচারের মানদণ্ড- সামাজিক মূল্যবোেধ।

-Advertisements-

➡️ আতিথেয়তা যে ধরনের মূল্যবােধ- সামাজিক মূল্যবোেধ।

➡️ জাতীয় উন্নয়নের মূলধন- সামাজিক মূল্যবােধ।

➡️ শৃঙ্খলা আনয়ন, ঐক্য প্রতিষ্ঠা এবং ব্যক্তি ও সমাজের সম্বন্ধ নির্ণয় করে সামাজিক মূল্যবােধ।

➡️  সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিকাশের অবদান রাখে- সামাজিক মূল্যবোেধ।

-Advertisements-

➡️ সামাজিক মূল্যবােধের ভিত্তি- শিষ্টাচার, সততা ও ন্যায়পরায়ণতা।

➡️ সামাজিক মূল্যবোেধ- শ্রমের মর্যাদা, দানশীলতা ও ন্যায়বিচার প্রভৃতি।

➡️ বড়দের সম্মান করা, ছােটদের স্নেহ করা কোন ধরনের মূল্যবােধ- সামাজিক মূল্যবােধ।

➡️  অর্থনৈতিক দিক থেকে মানব আচরণের যে অংশ প্রভাবিত হয় তার আদর্শগত দিককে বলা হয়- অর্থনৈতিক মূল্যবােধ।

-Advertisements-

➡️  আনুগত্য, পরমতসহিষ্ণুতা, দায়িত্বশীলতা, দেশপ্রেম, রাজনৈতিক আদর্শ, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সহনশীলতা, রাজনৈতিক শৃঙ্খলাবােধ প্রভৃতি- রাজনৈতিক মূল্যবােধের অন্তর্গত।

➡️ কোনটি প্রধান রাজনৈতিক মূল্যবোেধ- আনুগত্য।

➡️ জাতীয় মূল্যবোেধ, জাতীয় শৃঙ্খলা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা গড়ে ওঠে ব্যক্তির- রাজনৈতিক মূল্যবােধের ভিত্তিতে।

➡️ নেতৃত্ব হচ্ছে একটি সামাজিক গুণ।

-Advertisements-

➡️ গণতন্ত্রের প্রাথমিক চর্চা শুরু হয়- পরিবারে।

➡️  গণতন্ত্র থেকে উৎসারিত মূল্যবােধ- গণতান্ত্রিক মূল্যবোেধ।

➡️ গণতান্ত্রিক আদর্শ ও রীতিনীতি অনুশীলনের আদর্শিক দিকই হলাে- গণতান্ত্রিক মূল্যবােধ।

➡️  নাগরিকের মর্যাদা বৃদ্ধি করে- গণতান্ত্রিক মূল্যবােধ।

-Advertisements-

➡️  গণতন্ত্রকে সফলতা দান করে, নাগরিকের ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটায় ও নাগরিকদের সহানুভূতিশীল হতে শেখায় – গণতান্ত্রিক মূল্যবােধ।

➡️  দায়িত্বশীল শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়- গণতান্ত্রিক মূল্যবােধের দ্বারা।

➡️  আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে- গণতান্ত্রিক মূল্যবােধ।

➡️ সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অপরিহার্য- গণতান্ত্রিক মূল্যবোেধ।

-Advertisements-

➡️  সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, অপরের ধর্মমতকে শ্রদ্ধা করা, অন্যের ধর্ম পালনে বাধা প্রদান না করা, রাষ্ট্রীয়ভাবে কোন ধর্মকে শ্রেষ্ঠ না ভাবা এবং বিশেষ সুযােগ সুবিধা প্রদান না করাই হলাে- ধর্মীয় মূল্যবােধ।

➡️  ধর্মীয় ঐতিহ্য, বিশ্বাস, ধর্মগ্রন্থ চর্চা প্রভৃতি থেকে যে মূল্যবােধের সৃষ্টি হয়- ধর্মীয় মূল্যবােধ।

➡️  ব্যক্তির জীনে উন্নতি-অনুচিত, ভাল-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় বিচারের যে মূল্যবােধ তা হলাে- নৈতিক মূল্যবােধ।

➡️  নীতি ও ঔচিত্যবােধ থেকে বিবেচনা করা হয় যে মূল্যবােধ- নৈতিক মূল্যবোেধ।

-Advertisements-

➡️  নৈতিক মূল্যবােধের অন্তর্গত- সত্যকে সত্য, অন্যায়কে অন্যায় বলা ও সত্য-মিথ্যার ভেদাভেদ।

ভিক্ষুককে ভিক্ষা দেয়া যে মূল্যবােধের অন্তর্ভুক্ত- নৈতিক মূল্যবােধ।

➡️ মূল্যবােধের সাথে ওতপ্রােতভাবে জড়িত- নৈতিকতা।

➡️ মূল্যবােধের অপর নাম- নৈতিকতা।

-Advertisements-

➡️  মূল্যবােধ নির্ধারিত হয়- নৈতিকতার মাধ্যমে।

➡️ সংস্কৃতি যেসব আচরণকে উৎসাহ প্রদান করে এবং যেসব আচরণের জন্য সমাজে ব্যক্তির সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি, সেগুলােই হলাে- সাংস্কৃতিক মূল্যবােধ।

➡️ মানুষ তার লালনকৃত ও ধারণকৃত সংস্কৃতি থেকে যে মূল্যবােধ গ্রহণ করে- সাংস্কৃতিক মূল্যবােধ।

➡️  সাংস্কৃতিক মূল্যবােধ বেশি পরিমাণে উদ্ভূত হয়। সামাজিক প্রথা থেকে।

-Advertisements-

➡️ ব্যক্তি জীবনে বৌদ্ধিক বিকাশের প্রকৃত তাৎপর্য হলাে সত্যানুসন্ধানের স্পৃহা জাগ্রত করা। আর সত্যানুন্ধানের স্পৃহার সাথে সম্পৃক্ত বুদ্ধিপ্রসূত মানবীয় আচরণের আদর্শিক দিকই হলাে- বুদ্ধিবৃত্তিক মূল্যবােধ।

➡️  বাস্তবিকভাবে কোনাে বিষয়কে বােঝার সামর্থকে বলে- বুদ্ধিবৃত্তিক মূল্যবােধ।

➡️  ব্যক্তি জীবনের জৈবিক ও মানসিক চাহিদা পরিতৃপ্তির সাথে সম্পৃক্ত আচরণের আদর্শিক দিকই হলাে- শাররিক ও বিনােদনমূলক মূল্যবােধ।

➡️  বস্তুজগতের সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে পারাও ব্যক্তি জীবনের একটি আদর্শগত দিক, আর এর সাথে সম্পৃক্ত যে মানসিক তত্ত্বের সৃষ্টি হয় তাই হলাে- সৌন্দর্য সম্ভোগের মূল্যবােধ।

-Advertisements-

➡️ মানব মনের সুকোমল বৃত্তি প্রকাশের মূল্যবোেধ- নান্দনিক মূল্যবােধ।।

➡️ প্রতিটি মানুষ কর্মজীবী এবং তাকে শিক্ষা লাভ করতে হয় এটি প্রাতিষ্ঠানিক মূল্যবােধ।

➡️ বাইরের ব্যক্তিত্বকে গড়ে তােলে যে মূল্যবোেধ- বাহ্যিক মূল্যবােধ।

➡️  বাহ্যিক মূল্যবােধের অন্তর্গত পরিষ্কার পরিচ্ছনতা, সরলতা ও পােশাক পরিচ্ছদ ইত্যাদি।

-Advertisements-

➡️ ব্যক্তি সহনশীলতার শিক্ষা লাভ করে- মূল্যবােধ থেকে।

➡️ নাগরিকের প্রধান কর্তব্য হলাে- রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা।

➡️ মানুষের উপর কোনটির প্রভাব অপরিসীম- ধর্ম।

ও জনগণের অধিকারের রক্ষাকবচ হলাে- আইনের শাসন।

-Advertisements-

➡️ ‘আইনের চোখে সব নাগরিক সমান’ বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে বলা আছে- ২৭ নং।

➡️ বাংলাদেশের সংবিধানের যে অনুচ্ছেদে সর্বজনীন ভােটাধিকার প্রদান করা হয়- ১২২ নং অনুচ্ছেদ।

-Advertisements-

You cannot copy content of this page