কি কেন কিভাবে

-Advertisements-

কি কেন কিভাবে এর ১ম পর্বে থাকছে নিচের কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর

প্রশ্ন : পেঁয়াজ কাটার সময় চোখ থেকে পানি পড়ে কেন?

উত্তর : পেঁয়াজ কাটলে তার কোষগুলো উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। ভেতরে থাকা এনজাইম বেরিয়ে সালফোক্সাইডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে। তার ফলে উৎপন্ন হয় সালফেনিক অ্যাসিড। এই অ্যাসিড একাধারে বেশ কিছু বিক্রিয়া ঘটায়। সব শেষে তৈরি হয়ে সিন-প্রোপেনেথিয়াল এস-অক্সাইড। পেঁয়াজ কাটার সময় আমাদের মাথা পেঁয়াজের ঠিক ওপরেই থাকে। সিন-প্রোপেনেথিয়াল এস-অক্সাইড উড়ে গিয়ে ঠাঁই নেয় চোখে। চোখের পানির সঙ্গে আবারও বিক্রিয়া হয়। তৈরি হয় সালফিউরিক অ্যাসিড । আর এ এসিডকে ধুয়ে ফেলার জন্যই চোখ থেকে পানি বের হয়।

 

-Advertisements-

প্রশ্ন : অঙ্ক এবং গণিত কী?

উত্তর : ০ থেকে ৯ এই সংখ্যাগুলোকে অঙ্ক বলে। আর, গণিত হলো পরিমাণ, সংগঠন, পরিবর্তন ও স্থানবিষয়ক গবেষণা। গণিতে সংখ্যা ও অন্যান্য পরিমাপযোগ্য রাশিসমূহের মধ্যকার সম্পর্ক বর্ণনা করা হয়। সংখ্যাগুলো দিয়ে তৈরি যোগফল, বিয়োগফল, গুণফল, ভাগফল এবং এর পরিমাণ সংশোধন প্রণালিকে গণিত বলে ।

আরও দেখুনঃ অধ্যবসায় রচনা সকল শ্রেনীর জন্য

প্রশ্ন : IUPAC-এর পূর্ণরূপ কী ও এর দ্বারা কী বোঝায়?

উত্তর : IUPAC-এর পূর্ণরূপ The International Union of Pure and Applied Chemistry বা আন্তর্জাতিক বিশুদ্ধ ও ফলিত রসায়ন সংস্থা। সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জুরিখে এর সদর দপ্তর অবস্থিত। ১৮৬০ সালে ফ্রেডরিখ অগাস্ট কেকুলের নেতৃত্বে গঠিত একটি বিজ্ঞান সমিতি সর্বপ্রথম বিশ্বব্যাপী একটি আন্তর্জাতিক রসায়ন সংস্থার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। তারপর ১৯১৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে IUPAC

প্রশ্ন : পদ্য এবং পদ্ম-এর শুদ্ধ উচ্চারণ কী?

উত্তর : আপাতদৃষ্টিতে দুটির উচ্চারণ প্রায় একই শোনায় তবে পদ্য এর দ এর দিত্ব অন্তস্থ হয় এবং প এর উচ্চারণ ‘পো’ হবে আর পদ্ম এর দ এর দিত্ব নাসিক্য হয় এবং প এর উচ্চারণ ‘প’ হবে। পদ্য-এর সঠিক উচ্চারণ (পদ্য = পোদ্ দো) এবং পদ্ম-এর সঠিক উচ্চারণ (পদ্ম = পদদোঁ)।

-Advertisements-

প্রশ্ন : Know, Knit, Knesset, Knight ইত্যাদি শব্দে K-এর উচ্চারণ কেন হয় না?

উত্তর : যেকোনো Word-এর শুরুতে Kn থাকলে উক্ত Word টির উচ্চারণ ন/N দিয়ে করতে হয় এবং সেক্ষেত্রে ক-এর উচ্চারণ হয় না। যেমন— Know (নো), Knit (নিট), Knesset (নেসেট) ইত্যাদি।

 

প্রশ্ন : কূটনীতি ও পররাষ্ট্রনীতির মধ্যে পার্থক্য কী?

উত্তর : কূটনীতি ও পররাষ্ট্রনীতির মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই । পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে একটা দেশের পররাষ্ট্রবিষয়ক সামগ্রিক নীতিসমূহ, আর কূটনীতি হলো সেই নীতিগুলোকে কার্যকর করার উপায় বা পদ্ধতি। অর্থাৎ, পররাষ্ট্রনীতি হলো কোনো সার্বভৌম রাষ্ট্রের গৃহীত সেসব নীতি যা রাষ্ট্র তার রাষ্ট্রীয় স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে যোগাযোগ রক্ষার ক্ষেত্রে সম্পাদন করে থাকে। আর কূটনীতি হচ্ছে কোনো রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিচালিত সরকারি কার্যক্রম।

প্রশ্ন : কঠিন পদার্থ অসংখ্য অণু-পরমাণু দ্বারা গঠিত হওয়া সত্ত্বেও চাপ প্রয়োগে এদের সামান্যতম সংকোচন হয় না কেন?

উত্তর : কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন আছে । কঠিন পদার্থের অণুগুলো সুশৃঙ্খলভাবে কাছাকাছি অবস্থান করে। তাই এদের অণুগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল সর্বাধিক হয়। এদের অণুগুলোর স্থানান্তর ও আবর্তন গতি থাকে না । কঠিন পদার্থের ঘনত্ব খুব বেশি হয়। তাই চাপ প্রয়োগে কঠিন পদার্থের সংকোচন হয় না।

-Advertisements-

প্রশ্ন : Rh+ এবং Rh-এর মধ্যে পার্থক্য কী?

উত্তর : Rh+ : রক্তের লোহিত রক্ত কণিকায় RhD অ্যান্টিজেন (এক প্রকার প্রোটিন) উপস্থিত থাকে। যাদের রক্তে Rh+ আছে তারা অ্যান্টিবডি তৈরি করে না। যাদের রক্তে Rh+ আছে তারা Rh+ ও Rh- উভয় রক্তই গ্রহণ করতে পারে। Rh : রক্তের লোহিত রক্তকণিকায় RhD অ্যান্টিজেন (এক প্রকার প্রোটিন) উপস্থিত থাকে না। যাদের রক্তে Rh- আছে তারা অ্যান্টিবডি তৈরি করে। যাদের রক্তে Rh আছে তারা শুধু Rh রক্ত গ্রহণ করতে পারে।

 

-Advertisements-

You cannot copy content of this page